পুরো টুর্নামেন্টে জুড়েই পাকিস্তান ছিল অপ্রতিরোধ্য। অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে নামলেও তাদের মাটিতে নামতেই হলো। যাদের টুর্নামেন্টের শুরুটা মোটেও স্বস্তিদায়ক ছিল না, সেই অস্ট্রেলিয়াই পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। তাতে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অজিরা।

টান টান উত্তেজনার এই ম্যাচের শেষটায় এক পর্যায়ে পাকিস্তানের জয়ই সম্ভাব্য মনে হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৫০ রান। ১৭তম ওভারে স্টয়নিসের একটি চার ও এক ছয়ের পর তিন ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭ রানের। ১৮তম ওভারে আবারও এক চার ও এক ছয়ে অজিদের কক্ষপথে রাখেন ম্যাথু ওয়েড। পরের ওভারে শাহীনের বলে ওয়েডকে ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল। কিন্তু মিডউইকেটে তার ক্যাচ নিতে পারেননি হাসান আলী। বলতে গেলে এই ক্যাচ হাত ফসকে যাওয়ার পর ম্যাচও ফসকে যায় পাকিস্তানের কাছ থেকে। জীবন পেয়ে পরের তিন বলে তিন ছয়ে এক ওভার হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন অজি উইকেটকিপার। শেষের ঝড়ে অজিদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া স্টয়নিস ৩১ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাথু ওয়েড ছিলেন আরও বেশি বিধ্বংসী । ১৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে।

অথচ অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন শাদাব খান। ৯৬ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় তার লেগ স্পিনের কল্যাণেই। টপে ওয়ার্নারের ৩০ বলে করা ৪৯ রান ছাড়া আর কেউ পাকিস্তানের ওপর ত্রাস ছড়াতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটাররা চলে যাওয়ার পর পাকিস্তানও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিল। রান রেটের চাপ বেড়ে যাওয়া ক্রিজে থাকা ব্যাটাররা ভুল করছিলেন ঠিকই। কিন্তু পাকিস্তানি ফিল্ডাররা কিছু সুযোগ হাতছাড়ায় পরে সেটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে হারের কারণ! ক্যাচ মিসের আগে ওয়েডকে রান আউটের সুযোগও মিস করেছে তারা।